কাজল আর টিপ ঐতিহাসিকভাবে বাঙালি নারীর সাজের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। সম্প্রতি কপালে টিপ পরায় ঢাকার রাস্তায় হয়রানির শিকার হন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। শনিবার শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। এরপরই রাস্তায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লতা সমাদ্দারের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে অনেকেই যোগ দেন এ আন্দোলনে।
পদ্মশ্রী খেতাবপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সংগীতজ্ঞ ও শিক্ষক সন্জীদা খাতুন বলেছিলেন, ‘এখানেই যদি পৌঁছুতে হবে, তাহলে কিসের জন্য এত যুদ্ধ? কিসের জন্য এত সংগ্রাম? একটা মুসলিম রাষ্ট্র থেকে আরেকটা মুসলিম রাষ্ট্র তো আমরা গড়তে চাইনি। সবার জন্য রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলাম।’ এই উক্তিই আবার নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ছবি: প্রথম আলো
২ / ১৬
বাংলাদেশি অভিনেত্রী, প্রযোজক ও সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘দেশের কোন আইনে লেখা আছে টিপ পরা যাবে না?’ ছবি: ফেসবুক থেকে
৩ / ১৬
ছবিটি ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে তোলা। ছবিটি স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের পাঁচ শিক্ষার্থীর, সবার কপালে টিপ ছবি: ফেসবুক থেকে
৪ / ১৬
নতুন মসলিনের শাড়িতে অভিনয়শিল্পী মিতা রহমান। তিনি জানিয়েছেন, টিপ ছাড়া তাঁর সাজ অপূর্ণ রয়ে যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে
৫ / ১৬
প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন পুরুষেরাও। একাধিক পুরুষ তারকা টিপ পরে ছবি দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন এই ‘অনলাইন ও অফলাইন’ আন্দোলনে। তাঁদেরই একজন অভিনেতা, শিক্ষক ও প্রযোজক মনোজ প্রামাণিক। এই ছবিকে তিনি বানিয়েছেন ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার। আরেক অভিনেতা সাজু খাদেম ফেসবুকে টিপ পরা ছবি দিয়ে নিজেই বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। ছবি: ফেসবুক থেকে
৬ / ১৬
সংগীত তারকা ওয়ারদা আশরাফ এ ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘টিপ পরব কি পরব না, তা আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা। তাতে কারোর কিছু বলার নাই।’ ছবি: ফেসবুক থেকে
৭ / ১৬
অভিনয়শিল্পী, গায়িকা ও পরিচালক শিমূল ইউসুফ এ ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘পারলে ঠেকা। হাত মুচড়ে দেব।’ ছবি: ফেসবুক থেকে
৮ / ১৬
থিয়েটারকর্মী কাজী রোকসানা রুমা নিজের বেশ কয়েকটি টিপ পরা ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘বলি ও মশায়, কপালখানা আমার, টাকা আমার, টিপও আমার। আপনার কপালে যেদিন টিপ পরাইব, সেই দিন গাঁইগুঁই করিবেন, কেমন? তার আগে নহে। টিপ লইয়া ক্যাচাল করিয়া বাইক তুলিয়া দেবেন শরীরে, এ বড় মৌলবাদী আচরণ। আপনার শাস্তি নিজেদের হস্তে প্রদান করিতে বড্ড মন চাহে। আপনার বিচার চাহিয়া গেলাম।’ ছবি: ফেসবুক থেকে
৯ / ১৬
ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরের সম্পাদক মুনমুন শারমিন তাঁর মা ও বাবার ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার টিপ পরা মা আর হ্যান্ডসাম বাবার ষাট দশকের ছবি।’ বাঙালি নারীর সাজের আদি অনুষঙ্গ হিসেবে গয়নার বাক্স বা ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের কৌটায় যে টিপ থাকত, সেই বিষয়ের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ছবি: ফেসবুক থেকে
১০ / ১৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা একজন উঠতি তারকা। টিপ পরা সাদা–কালো এ ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার টিপ পরতে ভালো লাগে, তাই আমার কপালে আমি টিপ পরি। তাতে আপনার কী? আমার কপালে আমার টিপ আপনার তো ক্ষতি করেনি! টিপ বাঙালি নারীর ঐতিহ্য।’ ছবি: ফেসবুক থেকে
১১ / ১৬
নাজিয়া হক অর্ষা প্রকাশ করেছেন ছবিটি ছবি: ফেসবুক থেকে
১২ / ১৬
পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন লিখেছেন, ‘টিপ পরা একটা প্রজন্মগত ব্যাপার। আমার মা পরত, আমি পরি, একসময় হয়তো আমার মেয়েও পরবে।’ ছবি: ফেসবুক থেকে
১৩ / ১৬
শিক্ষক, অ্যাক্টিভিস্ট ও নাট্যকর্মী সামিনা লুৎফা এ ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘লতা সমাদ্দারের প্রাণনাশের চেষ্টা ও তাঁর বিরুদ্ধে ঘটা ভাষিক যৌন নিপীড়নের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার কপাল, আমার টিপ! বড়-ছোট লম্বা খাটো—আমার টিপ আমি পরব। কার কী?’
১৪ / ১৬
সন্জীদা খাতুনের নাতনি ও সংগীত তারকা সায়ন্তনী ত্বিষা এ ছবিকে বানিয়েছেন ফেসবুকে তাঁর অ্যাকাউন্টের কভার ফটো। ক্যাপশনে কেবল লিখেছেন, ‘টিপ।’ ছবি: ফেসবুক থেকে
১৫ / ১৬
আজমেরী হক বাঁধন শেয়ার করেছেন ছবিটি ছবি: ফেসবুক থেকে
১৬ / ১৬
অভিনয়শিল্পী নওশাবা আহমেদ শেয়ার করেছেন মাহমুদ রহমানের তোলা এ ছবি ছবি: ফেসবুক থেকে
Post Views: 318